বরিশাল উজিরপুর হিন্দু সম্পত্তি জোরপুবক দখল

 
বরিশাল জেলার উজিরপুর থানধীন ধামুরা বন্দরে বাদীর তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে থাকা দোকানঘরে থাকা হাডওয়ার ও সুতা জাতীয় মালামাল আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জোরপুবক দখল করে নেয়, ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ ইং ০৭/০৩/২০২৩ তারিখ ভোর রাত্র অনুমান ০৫.০০ ঘটিকার সময়।
অভিযুক্ত বাক্তিরা হলেন ১) মোসা: রাশিদা বেগম (৫৫) ২) মো উজ্জল হাওলাদার (৩৬), (৩) মো খোকন হাওলাদার (৫২) ও নাম না জানা আরও ৪/৫ জন।
 
অভিযোগকারী গোপাল চন্দ্র সেন বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের কাছে নিবেদন করেন যে, তিনি বাদী গোপাল চন্দ্র সেন (৪৮), পিতাঃ মৃত-কালাচাঁদ সেন, সাং-ধামুরা বাজার, থানাঃ উজিরপুর, জেলাঃ বরিশাল এই ঘটনাটির জন্য উজিরপুর থানায়, তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে দোকান ও গুদামঘর হিসাবে ব্যবহার করিয়া আসিতেছিল।উক্ত ঘরের দোকানে হার্ডওয়ার ও সুতা জাতীয় দ্রব্যদি রক্ষিত ছিল যাহার মূল্য অনুমান ৫,২৫,০০০/-টাকা। বিবাদী/ অভিযুক্তের সাথে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি নিয়া বিরোধ সৃষ্টি হইলে গোপাল সেন গত ইং-০১/০২/২০২০ তারিখ বাদী হইয়া বরিশাল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এমপি কেস নং-৩৯/২০২৩ (উজিরপুর) ধারা-ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৪৪/১৪৫ মতে দায়ের করে। উক্ত মামলা দায়ের করার পর উজিরপুর মডেল থানা হইতে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নোটিশ জারী করে। এমতাবস্থায় বিবাদীরা ইং-০৭/০৩/২০২৩ তারিখ ভোর রাত্র অনুমান ০৫.০০ ঘটিকার সময় আদালতের আদেশ অমান্য করিয়া গোপাল সেনের ভোগদখলীয় তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে থাকা দোকানঘর ও গুদামঘর হইতে ৫,২৫,০০০/-টাকার মালামাল নিয়া যায় এবং বেদখলের করার জন্য আমার সম্পত্তিতে হাড়বোডের বেড়া দেয়।
 
তখন বাদী বিবাদীদের কাজে বাধা দিলে বা উহার প্রতিবাদ করিলে বাদীকে মারধর করিতে উদ্যত হয় এবং খুন জখমের ভয়ভীতি দিয়া তাড়াইয়া দেয়। সুতরাং বিবাদীদের কোন কাজে বাধা দিলে গুরুতর শাস্তি ভঙ্গসহ খুন জখম হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান আছে মনে করিলে হিংসাত্মক পরিস্তিতির সূত্রপাত হয়। শেষ পর্যন্ত বাদী সংবাদ সম্মেলন করে তার প্রতিকার দাবি করেছেন। কিন্তু প্রভাবশালীরা এতই অস্বাভাবিক যে আইনের তোয়াক্কা তারা করেন না।
 
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ এহেন প্রশাসনিক অসহযোগিতার নিন্দা করেছেন। অনতিবিলম্বে আইন ভন্ঘকারিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান করার দাবী জানাচ্ছে।
অভিযোগকারী গোপাল সেনের কাতর গলায় নীপিড়নের কাহিনী শুনে বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি আড রবীন্দ্র ঘোষ বরিশাল জেলার পুলিশ সুপারকে এই ঘটনা অভিহিত করলে তিনি বললেন আইনগতভাবে উহার সমাধানের পথ খুজবেন। কিন্তু খুবই দু:খজনক হলো পুলিশ যদি ধতব্য অপরাধে মামলা নিতে গাফিলতি করে তবে পুলিশ তার দায়িত্ব পালনের অভিযোগ অস্বীকার করতে পারে না। থানার অফিসার ইন চার্জ কি কারনে মামলা রেকর্ড করে নি সেই বাপারে তিনি মুখ খুলতে নারাজ।

0 Comments