ধর্ষণে আইনি সহায়তা না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন একনারী


 
 
 
 
সিনিয়র রিপোর্টার মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।

 বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নে গত (৮ এপ্রিল ২০২৩) দিন গত  রাত অনুমান-০২.৩০ মিনিট সময়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার মোছাঃ হালিমা বেগম সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

ভিক্টম হালিমা, বি ডি এম ডাব্লু কে জানান,
ধর্ষণ মামলার আসামিদের সঙ্গে আপস করতে চাপ দিচ্ছে তালতলী থানা পুলিশ-এমন অভিযোগে, গত (২১ মে ২০২৩) সোমবার সকাল ১১টায় বরগুনা প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে, সংবাদ সম্মেলন করেন এবং তিনি বলেন, বেথিপাড়ার, তালতলীতে আমার বাড়ী, একই গ্রামের মৃত নজির প্যাদারের পুত্র এনায়েত প্যাদাসহ (৩৫) আরও অজ্ঞাতনামা ৩ জন, গত (৮ এপ্রিল ২০২৩) দিন গত রাত অনুমানিক ০২.৩০ মিনিট সময়ে আমাদের  ঘরের সিঁক কেটে  ঘরে প্রবেশ করে আমাকে ও আমার বড়বোন রূব্বানীর (৩য় লিঙ্গ) হাত-পা বেঁধে মুখে টেপ পেঁচিয়ে প্রথমে আসামী এনায়েত ও পরে অপর ৩ জন আসামী আমাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আমি গত (৯ এপ্রিল ২০২৩)  তালতলী থানায় এক জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছি, মামলা নং জি আর ৪০/২০২৩ ।

বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাড রবীন্দ্র ঘোষ জানান, ভিক্টম হালিমা বলেন, তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু মামলাটি তদন্তের জন্য এসআই মোঃ ফরিদুল ইসলামের উপর তদন্তভার অর্পণ করেন। তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের ব্যাপারে ভিক্টিম এর বড়বোন ও মামলার ২ নং সাক্ষী রূব্বানীকে একাধিক বার মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রস্তাব দেন। মামলা তুলে না নিলে আমাদের নামে চাঁদাবাজি মামলা দিবেন বলে হুমকি দেয়। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ব্যাকডেটে অর্থাৎ, ৫ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ আমার বোন রূব্বানীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন এবং তাকে গ্রেপ্তার করলে, ৭ দিন কারাভোগের পর জামিনে বের হয়। ১ নং আসামী এনায়েত একজন ইউপি সদস্য হওয়ায় এবং ধর্ষণ মামলায় জামিনে ধাকায় আমাদেরকে বার বার মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয় একাধিক বার থানায় জানালেও ওসি সাহেব কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি, বরিশাল বিভাগের ডি আই জিকে ঘটনার বিষয় মোবাইল ফোনে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে ব্যাবস্থা নিবেন বলে জানান,এবং বরগুনার পুলিশ সুপারকে ঘটনার বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানানো হলে তিনি বলেন আপনারা এসে তদন্ত করেন এই বলে ফোন কেটে দেয়। তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)কাজী শাখাওয়াত হোসেনের নিকট ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে, আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে, তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভিক্টিম হালিমার করা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে, ওসি বলেন, তদন্ত কমকর্তা ভিক্টিমকে ধর্ষণের মামলা তুলে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে, এটা মিথ্যা কথা, আর পুলিশ মামলা আপস করার কোনো প্রস্তাব দেয় নাই।

বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি এহেন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

 

0 Comments