গলাচিপায় মুর্তি ভাংচুরের ঘটনায় এক যুবক গ্রেফতার




সিনিয়র রিপোর্টার মোঃ আব্দুর রাজ্জাক

পটুয়াখালীর গলাচিপার ডাকুয়া ইউনিয়নের আটখালি গ্রামে গত (৩০ মে ২০২৩) মঙ্গলবারে তিনটি মুন্দিরের মুর্তি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে যানা গেছে।

উপজেলার আটখালি গ্রামে উক্ত তারিখ দুপুর ০১.০০ মিনিট সময়ে, আনন্দময়ী কালীবাড়ি সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাংচুর করে, উক্ত তারিখ বিকাল অনুমান ০২.৩০ মিনিট সময়ে উক্ত গ্রামের শিপন ডাক্তারের বাড়ির বৈঠক খানার ছাদে বসানো প্রতিমা ভাঙচুর করে, উক্ত তারিখ বিকাল অনুমান ০৪.৩০ মিনিট সময়ে উক্ত গ্রামের নন্দি বাড়ির মনসা মন্দিরে ঢুকে মনসা দেবীর প্রতিমা ভাংচুর করে,এই তিনটি ঘটনা একই ব্যক্তি ঘটিয়েছে বলে জানা যায়।

উক্ত ঘটনার বিষয়ে, উপজেলার আটখালি গ্রামের বাসিন্দা রবীন্দ্র নারায়ণ নন্দি বাদী হয়ে গলাচিপা থানায়, একজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আসামি হলেন, উপজেলার ফুলখালি গ্রামের মৃত হাকিম আলীর পুত্র মোঃ রাসেল (৩০)।

বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাড রবীন্দ্র ঘোষ জানান, গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েনের নিকট উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন ঘটনা সত্য, রাসেল কে গ্রেফতার করে তার স্বীকারউক্তি মতে প্রতিমা ভাংচুরের অপরাধে মামলা রুজু করে কোটে চালান দেয়া হয়েছে। 
তবে স্থানীয়রা প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছেন, রাসেল মনসিক ভারসাম্যহীন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দেখা হবে।

বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি, এহেনো প্রতিনিয়ত ধমীর্য় হিংস্রতার তীব্র নিন্দা করেন এবং বলেন লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাংলাদেশে হিন্দুদের দেবদেবির প্রতিমা ভাংচুরসহ হাজার হাজার ঘটনার বিচার দাবী করা সত্বেও বিচার হীনতার কারণে আসামিরা রেহায় পেয়ে যাচ্ছে মানে Impunity to perpetrators is an indulgence to repeat crime against religion. এই ধরনের প্রতিহিংসা বন্ধ করতে হবে, সকলের জন্য ক্ষতিকর, বিদ্বেষমুলক, বিমাতাসুলভ আচরণ সহ-অবস্থান খুবই নিন্দনীয়।


 

0 Comments