কাহারোলে দেবত্তোর সম্পত্তি বেদখল সরজমিনে বি ডি এম ডাব্লুর প্রতিনিধি দল তদন্তে


 
আব্দুর রাজ্জাক সিনিয়র রিপোর্টার:
 
ঘটনা সুত্রে জানা যায়,
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের একটি প্রতিনিধিদল গত (১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩)সে সরজমিনে তদন্তে যান, তদন্ত কালে কাগজ পত্র পর্যালচনা করে দেখা যায়, দিনাজপুরের কাহারোলে ইটুয়া মৌজার ১১.৫৬ শতক জমি যাহা ইটুয়া মৌজার জেল এল নং ১৫০। সি এস খতিয়ান নং ৭৪ । এস এ খতিয়ান নং ৮২ । এস এ দাগ নং ১০৭।১২৬।১২৭।১২৮।১২৯।১৩০।১৩১। মোট ৭ টি দাগে ১১.৫৬ শতক জমি দেবোত্তর সম্পত্তি, শ্রী শ্রী কালীমাতা ঠাকু্রানী, গ্রাম্য হিন্দু সাধারণের পক্ষে জিম্বাদার হিসেবে সি এস খতিয়ানে নাম আছে, সেবায়েত মোহন চাঁদ বর্মন পিতা জোধা বর্মন গং, এস এ খতিয়ানে জিম্বাদার হিসেবে নাম আছে সেবায়েত বুধারু বর্মন পিতা মোহন চাঁদ বর্মন, ঐদী বর্মন জং লাল বর্মন, নেম বর্মন পিতা হরি মোহন বর্মন। সাং গড় নুর পুর। আর এস জরিপে দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে রেকর্ড হয়েছে।

সরজমিনে তদন্ত কালে জানা যায় উক্ত মন্দিরের সেবায়েত গন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোকজনের নিকট সম্পত্তি রেজিস্ট্রি দলিল মুলে বিক্রি করেছেন। তাঁরা দলিল মুলে ৪৪ জন নামজারি করে নিয়েছে।

বর্তমান মন্দিরের সভাপতি যোগেশ চন্দ্র রায় বাদী হয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ মাঈদুল ইসলাম এর নিকট ১।মোঃ এনামুল হক, ২।মোঃ নাজিম উদ্দিন,৩।হবিবর রহমান,৪। মোঃ সাদেক আলী ৫। মোঃ মোস্তফা ৬। মোঃ রোস্তম আলী ৭। মোঃ সাইফুদ্দিন ৮। মোকলেছার রহমান ৯। মোঃ নাজিম উদ্দিন ১০। মোঃ ইয়াছিন আলীসহ আরও ৩৪ জনকে বিবাদী করে ১৬ টি নামজারি বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। 

উক্ত আবেদনের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার গত (২০ জুন ২০২৩)সে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি করেন এবং সেই সময় সেবায়েতগন বিভিন্ন রেজিস্ট্রি দলিল মুলে জমি বিক্রি করেছেন, সেই মতে বাদী পক্ষকে উক্ত দলিল সমুহ বাতিলের জন্য উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে আবেদন না মুঞ্জুর করেন।

তদন্ত কালে বিবাদীদের মধ্যে আব্বাছ আলী ও ইছরাফুলকে জিজ্ঞাসা করলে যে কেনো তাঁরা উক্ত জমি ভোগদখল করছেন, ওনারা বলেন আমরা পুর্বের সেবায়েত গনের নিকট থেকে ক্রয় করেছি ওনারা কিছু দলিল পত্র তদন্ত টিমকে দেখায়, তাতে দেখা যায় পুর্বের সেবায়েত ১।নেম বর্মন,২।ঐদি বর্মন,৩।বুধারু বর্মন, এরা উক্ত দেবোত্তর সম্পত্তি রেজিস্ট্রি দলিল মুলে বিক্রি করেছেন।

এলাকার হিন্দু সাধারণের দাবি তাঁরা দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধার চান, বর্তমানে ১১.৫৬ শতক জমির মধ্যে ১০/১২ শতক জমি হিন্দু সাধারণের দখলে আছে এই টুকুর মধ্যে তারা একটি কালি মন্দির প্রতিষ্ঠা করে পুঁজার্চোনা করে আসছে।

বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন এবং দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধারের জোর দাবি জানান।

 

0 Comments